ডিরেক্টর: রেমো ডি’সুজা
রেটিং: 1.5 স্টার (5এর মধ্যে)
এই সিনেমার পটভূমি- একদল অত্যন্ত বিত্তশালী মানুষের ক্ষমতার লড়াই- যা অত্যন্ত দুর্বল। প্রচুর চাকচিক্য এবং অ্যাকশনের ব্যবহার রেস 3-কে কোনওভাবেই সাহায্য করতে পারেনি। সলমান খান এই সিনেমাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেও দুর্বল এবং অত্যন্ত খাজা স্ক্রিপ্টের দৌলতে সেই চেষ্টার সলিল সমাধি হয়েছে।
রেমো ডি’সুজা পরিচালিত রেস 3 একদল দিশাহারা উন্মাদের নৃত্যে পরিণত হয়েছে। এই খেলায় প্রচুর খেলোয়াড় কিন্তু কেউই ঠিক মতো খেলতে পারেনি। সারা বিশ্বে অস্ত্র সরবরাহকারী পরিবারের শামশের সিং (অনিল কাপুর) কম্বোডিয়ার এক ব্যাঙ্কের হার্ডডিস্ক, কড়া নিরাপত্তা এড়িয়ে চুরি করতে চান, দেহ ব্যবসা চক্রের সঙ্গে জড়িত ভারতীয় রাজনীতিবিদদের ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশ্যে। তাঁর স্বার্থপর ধূর্ত সহোদররা সকলেই পরস্পরকে টপকে ক্ষমতার দখল নিতে চায়।

রেস 3 রিভিউঃ শামশের চরিত্রে অনিল কাপুর (কৃতিত্ব ইউটিউব)
জঘন্য চিত্রনাট্য, অতি খারাপ ডায়লগ, আরও খারাপ অভিনয়- সব মিলিয়ে যা আউটপুট তা রোহিত শেঠীর সিনেমার থেকেও বেশী খারাপ।

রেস 3 রিভিউঃ এই হল পুরো টিম (কৃতিত্ব ইউটিউব)
অনেক দর্শকই এই সিনেমায় সলমানের অভিনয় ও অ্যাকশন দুর্দান্ত এইসব বলে অত্যন্ত বেশি চ্যারিটি করবে। তবে এই সিনেমার নির্মাতাদের এখনও সিনেমা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং চরিত্র বাছাইয়ের জন্য কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয় তা শেখা বাকী। এই সিনেমায় না হয়েছে ঠিক মতো অ্যাকশন, না থ্রিল, না হয়েছে অভিনয়- শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য দর্শকদের উত্তেজনাই ধরে রাখতে পারেননি পরিচালক। তবে সিনেমার ক্লাইম্যাক্সে এসে সলমান খান এবং ববি দেওল উভয়কেই জামা খুলিয়ে দর্শক টানার শেষ চেষ্টা করেছেন পরিচালক, যা কার্যতই ব্যর্থ হয়েছে।

রেস 3 রিভিউঃ সিকান্দর চরিত্রে সলমান খান (কৃতিত্ব ইউটিউব)
রেস 3 পরিবারের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং দীর্ঘজীবী সদস্য অনিল কাপুর একমাত্র জানেন পরিবারে কে কী করতে পারে। বাদবাকী চরিত্র- জ্যাকলিন ফারনান্দিজ, ববি দেওল, সাকিব সেলিম, ডেইজি শাহ- সিনেমায় যে কী করেছেন সে বিষয়ে তাঁদেরও স্পষ্ট ধারণা আছে কি না এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন খেই হারানো স্টান্টম্যানের মতো উড়ন্ত বুলেট এবং বিধ্বংসী গাড়ির মধ্যে হাত-পা চালিয়ে সমস্ত হাই- ভোল্টেজ অ্যাকশনের দফারফা করে দেন, তখন বাকী চরিত্রদের থেকেই বা আর বেশি কিছু আশা কীভাবে করা যায়!
সিনেমায় সমস্ত অ্যাকশনের কৃতিত্ব যাকে দেওয়া হয়েছে, কোরিওগ্রাফার থমাস স্ট্রুথারস, তিনি ব্ল্যাক প্যান্থার, দা ডার্ক নাইট এবং ডানক্রিকে স্টান্ট সহকারী ছিলেন। আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, এই অ্যাকশন থ্রিলারকে স্মরণীয় করে তুলতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন নিই। আমাদের তো মনে হয় তিনি জত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেস 3-এর আতঙ্ক ভুলতে চেয়েছিলেন এবং সেটাই করেছেন। তবে সলমান খান অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলবো, এই সিনেমা এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল। বাদবাকী আপনি যা ভাল বুঝবেন!