কাস্ট: বরুণ ধাওয়ান, অনুষ্কা শর্মা, রঘুবীর যাদব
পরিচালক: শরৎ কাটারিয়া
রেটিং: 2.5 স্টার (5 এর মধ্যে)
সুই ধাগায় একটা ছোট্ট-শহরের দম্পতির বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্বেও নিজস্ব স্বাধীন ব্যবসা শুরু করার গল্প নিপুণভাবে ভালোবাসার সুতোয় বুনেছেন পরিচালক শরৎ কাটারিয়া। ছবির দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র বরুণ ধাওয়ান ও অনুষ্কা শর্মা দু’জনেই নিজেদের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। দুজনেই গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়ে ছবিটা প্রাণোচ্ছ্বল করে তুলেছেন।

সুই ধাগা রিভিউঃ ছবির একটা দৃশ্যে বরুণ ও অনুষ্কা (সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম)
মাউজি (বরুণ) ও মমতা (অনুষ্কা) বিবাহিত হলেও কেউ কখনও সরাসরি কাউকে কিছু বলে না। তাঁদের জুটিটা ঈশ্বরের তৈরি নয়। পারিবারিক প্রয়োজনীয়তার তাগিদে তাঁদের মধ্যে মাঝেমধ্যে শুধুমাত্র দুই একটা কথা হয়। মাউজির বাবা (রঘুবীর যাদব) অকালকুষ্মাণ্ড ছেলের প্রতি বিরক্ত হলেও তাঁকে সঠিক দিশা দেখাতে অক্ষম।
মাউজি একটা সেলাই মেশিন বিক্রির দোকানে কাজ করে এবং মমতা সংসারের জাঁতাকলে পিষতে থাকে। এরপর মমতা ভিতরের দাপুটে এমব্রয়ডার শিল্পী সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে যখন সে বুঝতে পারে সে পাশে দাঁড়ালেই তাঁর স্বামী মাউজি জীবনে আরও অনেক ভাল কিছু করতে পারে। সে মাউজিকে স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়। এরপর মাউজি সাহস সঞ্চয় করে নিজের কারিগরি দক্ষতার সাহায্যে দর্জির ব্যবসা শুরু করে।

সুই ধাগা রিভিউঃ ছবির একটা দৃশ্যে বরুণ ধাওয়ান(সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম)
সুই ধাগায় এক মেঘে ঢাকা তারার গল্প বলা হয়েছে যে একটু অনুপ্রেরণা পেলেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। বুদ্ধিমতি মমতা এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। অনুষ্কা পুরোপুরি নিজের চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়ে একজন গৃহবধূ হয়ে উঠেছেন যিনি নিজের স্বামীর প্রধান চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

সুই ধাগা রিভিউঃ ছবির একটা দৃশ্যে অনুষ্কা শর্মা (সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম)
গল্পকার-পরিচালক শরৎ কাটারিয়া (দম লাগা কে হাইশা) আবারও এমন একটা ছোট শহরের গল্প বলেছেন যে শহর উন্নতির পথযাত্রী হলেও পুরনো ধ্যান ধারনার খোলোস ছেড়ে এখনও পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি। মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি শহরে সুই ধাগার পটভূমি গড়ে উঠেছে। ছবির চরিত্ররা সকলেই জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
সুই ধাগা তবুও যেন পারফেকশনের থেকে একটু পিছিয়ে রইলো। গল্পে বিনোদন, হিউমর, আবেগ এবং অভিনেতাদের অভিনয় দক্ষতা ভরপুর থাকায় তা সহজেই স্রোতের সঙ্গে ভেসে যেতে পেরেছে। অবশ্যই দেখার মতো ছবি।