পাঁচ-ছয়ের দশক আচ্ছন্ন আশা পারেখ (Asha Parekh) জাদুতে। রাজেশ খান্না, মনোজ কুমার, রাজেন্দ্র কুমার, দিলীপ কুমার, জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন--- এমন কোনও নায়ক ছিলেন না, যাঁর বিপরীতে নায়িকা হননি আশা। এমন নায়িকার জীবনে পুরুষের অভাব! নাকি এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে যার কারণে তিনি আজীবন কুমারী? আজ সেই রহস্য উন্মোচনের দিন।
তাব্বুর প্রেমে পড়েছেন ঈশান খট্টর? ফাঁস করলেন অভিনেত্রী
কেন আশা পারেখ অবিবাহিত? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে হালে। যার উত্তরে এক সাক্ষাৎকারে আশা বলেছেন, জীবনের সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে সেরা অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত। কারণ, তিনি নাকি প্রেমে পড়েছিলেন এক বিবাহিত পুরুষের। কিন্তু ঘর ভাঙতে চাননি তাঁর। তাই তাঁর ঘর বাঁচাতে গিয়ে নিজের আর ঘরই হল না আশার।
নিজের আত্মজীবনী 'দ্য হিট গার্ল' (The Hit Girl)-এ তিনি নাম নিয়েছেন সেই পুরুষের। তিনি আমির খানের কাকা নাসির হুসেন। বায়োগ্রাফিতে আরও বলেছেন, আত্মসম্মানে বেঁধেছিল কোনও পুরুষের ঘর ভেঙে তাঁকে বিয়ে করতে। তাই প্রচণ্ড ভালোবেসেও দূরত্ব বজায় রেখে গেছেন সবসময়। সেই সময় এবং আজও আশা ওয়াহিদা রেহমান আর হেলেনের সঙ্গ উপভোগ করেন। ওঁরা আসার খুব কাছের বন্ধু। কোথাও যেতে হলে সব সময় ওঁদের সঙ্গে নিয়ে যান।
'বড় হৃদয়' হৃতিকের! দেখে তাজ্জব ১০ লাখ নেটিজেন বললেন...
৭৭-এর আশা পারেখের জন্ম১৯৪২-এর ২ অক্টোবর। গুজরাতি পরিবারের মেয়ে আশা ৮০ টি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সুপারহিট ছবির তালিকায় রয়েছে, দিল দেকে দেখো (১৯৫৯), যব প্যায়ার কিসি সে হোতা হ্যায় (১৯৬১), ফির ওহি দিল দিল লায়া হু (১৯৬৩), তিসরি মঞ্জিল (১৯৬৬), বাহারোঁ কি স্বপ্নে (১৯৬৬) প্যায়ার কা মৌসম (১৯৬৯) এবং কারবাঁ (১৯৭১)। তিনি নাসির হুসেনের মঞ্জিল-মঞ্জিল (১৯৮৪) ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯২-এ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি।